শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

দ্বিতীয় শ্রেণি- বাংলা (part-2)


জলপরি ও কাঠুরে , নানা রঙের ফুলফল, আমাদের ছোট নদী, দাদির হাতের মজার পিঠা
পাঠ - ৭ জলপরি ও কাঠুরে
১. শব্দার্থ জেনে নিই।
কাঠুরে – যে কাঠ কাটে।
কুড়াল – কাঠ কাটার হাতিয়ার।
স্রোত – জলের ধারা।
দুঃখ – মনের কষ্ট।
কিছুক্ষণ – অল্প সময়।
সততা – কাজেও কথায় সৎ থাকা।
লোভী – অনেক লোভ যার।
২. এই শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
স্রোত কুড়াল লোভী দুঃখ সততার কাঠুরে
উত্তর : ক. লোকটা দুঃখ পেয়ে কাঁদতে লাগল।
খ. লোভী কাঠুরে নিজের কুড়াল ফিরে পেল না।
গ. নদীতে খুব স্রোত ছিল।
ঘ. কাঠুরে কাঠ কাটতে বনে গেল।
ঙ. সে কুড়াল দিয়ে কাঠ কাটছিল।
চ. কাঠুরে সততার জন্য পুরস্কার পেয়েছে।
৩. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই।যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি।
স্রোত = স্র – স – (র-ফলা) অজস্র, অজস্র,সহস্র
কিছুক্ষণ = ক্ষ – ক – ষ = কক্ষ, শিক্ষা
সন্ধ্যা = ন্ধ – ন – ধ গন্ধ, বন্ধ।
৪. ৪ নিচের শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করি।
গরীব নদী কুড়াল কিছুক্ষণ
উত্তর: গরিব – কাঠুরে ছিল খুব গরিব।
নদী – নদীর ধারে এক বন ছিল।
কুড়াল – কাঠুরের একটি কুড়াল ছিল।
কিছুক্ষণ – সে কিছুক্ষণ গাছের ছায়ায় বসল।
৫. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক. কাঠুরে কোথায় কাঠ কাটতে গিয়েছিল?
উত্তর: কাঠুরে নদীর ধারে কাঠ কাটতে গিয়েছিল।
খ. কাঠুরে কাঁদতে লাগল কেন?
উত্তর: কাঠুরের হাত ফসকে তার কুড়ালটি নদীর পানিতে পড়ে গেল।তাই সে মনের দুঃখে কাঁদতে লাগল।
গ. জলপরি প্রথমে কোন কুড়াল আনল।
উত্তর: জলপরি প্রথমে সোনার কুড়াল আনল।
ঘ. জলপরি কাঠুরের উপর খুশি হলো কেন?
উত্তর: কাঠুরে সোনা ও রুপোর কুড়ালের উপর লোভ করল না।সে জলপরিকে সত্যি কথা বলল।তাই জলপরি কাঠুরের উপর খুশি হলো।
ঙ. লোভী কাঠুরে জলপরিকে মিথ্যা কথা বলেছিল।এজন্য লোভী কাঠুরের উপর জলপরি খুব রাগ হলো।
চ. লোভী কাঠুরে জলপরির কাছ থেকে কী শিক্ষা পেল?
উত্তর: লোভী কাঠুরে জলপরির কাছ থেকে শিক্ষা পেল যে, লোভ করলে শাস্তি পেতে হয়।লোভের পরিণাম কখনো ভালো হয় না।
৬. বিপরীত শব্দ জেনে নিই।ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
কিনতে বেচতে দুঃখে সুখে কাঁদতে হাসতে হ্যাঁ না।
উত্তর: ক. কাঠুরে উপহার পেয়ে সুখে দিন কাটাতে লাগল।
খ. কাঠুরে খুব গরিব তাই কুড়াল কিনতে পারল না।
গ. লোভী কাঠুরে মিছামিছি কাঁদতে লাগল।
ঘ. কাঠুরে সোনার কুড়াল দেখে না বলল।
আরও কিছু শিখি:
১. এককথায় প্রকাশ করো:
উত্তর: জলে থাকে যে পরি – জলপরি
কাঠ কাটেনি যিনি – কাঠুরে
কাজে ও কথায় সৎ থাকা – সততা
অনেক লোভ যার – লোভী
অল্প কিছু সময় – কিছুক্ষণ
***নানা রঙের ফুলফল***
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর:
১. শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে বের করি।এবং অর্থ বলি।
কোষ-কোয়া।
দানা-বিচি ,বীজ।
খোসা-ফল বা সবজির আবরণ।
২.ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
দানা, খোসা, কোষ।
উত্তর:
ক.কাঁঠালের রসভরা কোষ খেতে কী যে মজা।
খ.ডালিমের দানা টুকটুকে লাল।
গ.খোসা ছাড়িয়ে কলা খাও।
৪.মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক).কী কী ফুল লাল রঙের হয়?
উত্তর:কৃষ্ণচূড়া,শিমুল ও পলাশ ফুল লাল রঙের হয়।এছাড়া কিছু গোলাপ,জবা ও শাপলা ফুল ও লাল রঙের হয়।
খ).সুগন্ধি ফুল কী কী ?
উত্তর:গোলাপ ,বেলি,রজনীগন্ধা,কামিনী,গন্ধরাজ,হাসনাহেনা,দোলনচাঁপা,শিউলি-এগুলো সুগন্ধি ফুল।
গ).কোন কোন ফুলে গন্ধ নেই?
উত্তর:জবা, কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, পলাশ,কাশফুল,টগর ও কলাবতী ফুলে গন্ধস নেই।
ঘ).কোন কোন ফলের ভিতরটা লাল রঙের?
উত্তর:পাকা ডালিম ও তরমুজের ভিতরটা লাল রঙের।
৫.নিচের ছকের কোনটি কী রঙের ফুল তা লিখি।
গন্ধরাজ,কামিনী,দোলনচাঁপা,শিউলি,হাসনাহেনা,টগর,কাশ,শাপলা ,জবা,কৃষ্ণচূড়া,শিমুল ,পলাশ ,সূর্যমুখী,গাঁদা
(সাদা ) = গন্ধরাজ,কামিনী,দোলনচাঁপা,শিউলি,হাসনাহেনা,টগর,কাশ,শাপলা।
(লাল) = জবা,কৃষ্ণচূড়া,শিমুল ,পলাশ শাপলা।
(হলুদ) = সূর্যমুখী,গাঁদা।
(গোলাপী) = জবা।
৬.নিচে দুটি ফুল ও দুটি ফলের ছবি আছে।যেকোনে একটি বিষয়ে তিনটি বাক্য লিখি।বাক্যগুলো সবাইকে পড়ে শোনাই।
উত্তর:
i).আমাকে বলা হয় ফলের রাজা ।
ii).কাঁচা আম সবুজ রঙের হয়।
iii).পাকা আম হলুদ রঙের হয়।
৭.আমার সবচেয়ে ভালো লাগে-ফুল ।এই ভালো লাগার কথা সবাইকে বলি ওলিখি।
উত্তর:আমার রসবচেয়ে ভালো লাগে গোলাপ ফুল।গোলাপ ফুল দেখতে খুবই সুন্দর।এর সুগন্ধও আছে।গোলাপ বিভিন্ন রঙের হয়।আমার পছন্দ লাল গোলাপ।আমাদের উঠোনে আমি একটি গোলাপ গাছ লাগিয়েছি।গাছটিতে অনেক ফুল ফুটেছে।গোলাপের সুবাসে ভরে আছে আমাদের উঠোন।
***আমাদের ছোট নদী***
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১. শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে বের করি।এবং অর্থ বলি।
পাড়ি-পাড়।
হাঁক-চিত্কার করে ডাকা।
বাদলধারা-বৃষ্টির ধারা।
খরতর-প্রবল।
সাড়া-আলোড়ন।
উত্সব-আনন্দের অনুষ্ঠান।
ঢালু-নিচু।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ধারে, চিকচিক, উত্সবে, ঝাঁক, নাওয়া, হাঁটুজলে, কূলে।
উত্তর:ক.ছেলেমেয়েরা হাঁটুজলে মাছ ধরে।
খ.নববর্ষে সারা দেশ উত্সবে মেতে উঠে।
গ.নদীর ধারে নৌকা বাঁধা রয়েছে।
ঘ.এক ঝাঁক পাখি উড়ে গেল।
ঙ.আমার এখনো নাওয়া খাওয়া হয়নি।
চ.রোদে বালি চিকচিক করে।
ছ.নদীর কূলে সাদা কাশবন দেখা যায়।
৩. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক).বাঁকে বাঁকে কী বয়ে চলে?
উত্তর:বাঁকে বাঁকে ছোট নদী বয়ে চলে।
খ).বৈশাখ মাসে ছোট নদীর পানি কতটুকু থাকে?
উত্তর: বৈশাখ মাসে ছোট নদীর পানি হাঁটু পর্যন্ত থাকে।
গ).নদীর দুই ধার দেখতে কেমন?
উত্তর: নদীর দুই ধার দেখতে উঁচু।
ঘ).রাতে কী শোনা যায়?
উত্তর রাতে শিয়ালের হাঁক শোনা যায়।
ঙ).নদীতে কীভাবে ছেলেমেয়েরা মাছ ধরে?
উত্তর: নদীতে ছেলেমেয়েরা আঁচলে ছেঁকে ছোট মাছ ধরে।
চ).কখন নদী পানিতে ভরে যায়?
উত্তর:আষাঢ় মাসে নদী পানিতে ভরে যায়।
৪.রেখা টেনে মিল করি।
উত্তর:
i.এঁকে বেঁকে চলে –নদী।
ii.বৈশাখ মাসে নদীতে থাকে-মানুষ।
iii.নদীর ধারে চিকচিক করে- বালি।
iv.ফুলে ফুলে সাদা দেখা যায়-কাশবন।
v.কিচিমিচির করে ডাকে-পাখি।
৫.জোড়া শব্দ পড়ি।ছন্দ মিলাই ও লিখি।
বাঁকে বাঁকে –ফাঁকে ফাঁকে
ফুলে ফুলে-দুলে দুলে
তীরে তীরে-ধীরে ধীরে
ভরো ভরো-থরো থরো
বনে বনে-ক্ষনে ক্ষনে ।
৬.নদীর ছবিটি দেখে দুটি বাক্য লিখি।
উত্তর:
i.নদীর ধারে কাশফুল ফুটেছে।
ii.মাঝি নৌকা বাইছেন।
***দাদির হাতের মজার পিঠা***
১. শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে বের করি।এবং অর্থ বলি।
অনুষ্ঠান-উত্সব। সুন্দর-ভালো।
উনুন-চুলা। ভাপ-গরম পানির ধোঁয়া।
সিদ্ধ-আগুনের তাপে রান্না করা। মজাদার-স্বাদের খাবার।
অঞ্চল-এলাকা। বিখ্যাত-নামকরা।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
উনুনে, অনুষ্ঠানে, ভাপ, সিদ্ধ, বিখ্যাত, সুন্দর,মজাদার।
উত্তর:ক.ভাপ দিয়ে তৈরি হয় ভাপা পিঠা।
খ.গোলাপ দেখতে সুন্দর।
গ.অতিথির জন্য মজাদার খাবার রান্না হচ্ছে।
ঘ.আমরা গানের অনুষ্ঠানে যাই।
ঙ.আমরা সিদ্ধ ডিম খাই।
চ.উনুনে ভাত বসাও।
ছ.টাঙ্গাইলের চমচম বিখ্যাত।
৪.মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক).পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে কখন?
উত্তর:শীতকালে পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে।
খ).চাল গুঁড়ো করা হয় কেন?
উত্তর:নানারকম পিঠা বানাতে চাল গুঁড়ো করা হয়।
গ).ভাপে সিদ্ধ পিঠাকে কী বলে?
উত্তর:ভাপে সিদ্ধ পিঠাকে ভাপা পিঠা বলে।
ঘ).ভাপা পিঠা বানাতে কী কী লাগে?
উত্তর:ভাপা পিঠা বানাতে চালের গুঁড়ো ,খেজুরের গুড় আর কোরা নারকেল লাগে।
৫.ছবির নিচে পিঠার নাম লিখি ও পিঠা সম্পর্কে বলি।
উত্তর:
চিত্র ১. ভাপা পিঠা-
ভাপ দিয়ে তৈরি হয় ভাপা পিঠা।চালের গুঁড়ো,খেজুরের গুড় আর কোরা নারকেল দিয়ে এ পিঠা তৈরি হয়।
চিত্র ২. পুলি পিঠা-
পুলি পিঠা ও ভাপা পিঠার মতো ভাপ দিয়ে তৈরি করা হয়।এ পিঠার একপাশে হাত দিয়ে নকশা করা হয়।
চিত্র ৩. পাটিসাপটা-
পাটিসাপটা পিঠা পাটি বা মাদুরের মতো ভাঁজ করে বানাতে হয়।পিঠার ভিতরে থাকে নারকেল,গুড় অথবা ক্ষীর।
চিত্র ৪. সেমাই পিঠা-
চালের গুঁড়ো সিদ্ধ করে তারপর ছোট ছোট সেমাইয়ের মতো করে কেটে রান্না করতে হয়।এজন্য এ পিঠার নাম সেমাই পিঠা।
৬.আমার প্রিয় পিঠা সম্পর্কে দুইটি বাক্য লিখি।
উত্তর:
i.ভাপা পিঠা আমার প্রিয় পিঠা।
ii.ভাপা পিঠা বানাতে চালের গুঁড়ো ,খেজুরের গুড় ও কোরা নারকেল দরকার হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নৈব্যত্তিকের উত্তর

চট্টগ্রাম বোর্ড তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেট-গ তারিখ: ১২/০২/২০২০ উত্তরসমূহ : ১। ওয়ার্ড প্রসেসরে লেখালেখির জন্য বিভিন্ন স্টাইলের অক্ষর...