শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ষষ্ঠ শ্রেণি - বাংলা (part-2)

নীলনদ আর পিরামিডের দেশ
*** নীলনদ আর পিরামিডের দেশ ****
সৈয়দ মুজতবা আলী
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর:
১.কোন দেশকে পিরামিডের দেশ বলা হয়?
উত্তর:ঘ).মিশর।
২.সৈয়দ মুজতবা আলী কায়কোকে ‘নিশাচর শহর’বরেছেন কেন?
উত্তর:ঘ)রেস্তোরাঁ,ক্যাফেগুলো খদ্দেরে গিজগিজ করে বলে।
৩.উদ্দীপকটি নীলনদ আর পিরামিডের দেশ ভ্রমণকাহিনির সাথে কোন দিক থেকে অধিকতর সাদৃশ্যপূ্র্ণ?
উত্তর:ক)প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ।
৪.সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি মানুষের মনে-
উত্তর:ঘ).i,iiওiii।
প্রশ্ন ১.
ক) ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-কার লেখা?
উত্তর: ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’রচনাটি সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা।
খ)উটের চোখগুলো রাতের বেলা সবুজ দেখাচ্ছিল কেন?
উত্তর:রাতের বেলা উটের চোখের উপর মোটরের হেডলাইট পড়াতে তা সবুজ দেখাচ্ছিল। লেখকের মিশর ভ্রমণের একপর্যায়ে মরুভূমিতে রাতের বেলা জ্বলজ্বলে দুটি সবুজ আলো দেখতে পান।প্রথমে তিনি ভয় পেয়ে গেলে ও কাছে এসে দেখতে পান সেগুলো উটের চোখের আলো।মোটরের হেডলাইট পড়াতে চোখগুলো সবুজ রং ধারণ করে জ্বলজ্বলে করছিল।
গ)ভ্রমণকারীদের যাত্রাপথের সাথে লেখকের মিশর ভ্রমণের কী মিল খুঁজে পাওয়া যায়?বর্ণনা কর।
উত্তর:নতুন দৃশ্য উপভোগ ও অভিজ্ঞতা লাভের দিক দিয়ে উদ্দীপকের ভ্রমণকারীদের যাত্রাপথের সাথে লেখকের মিশর ভ্রমণের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’রচনায় লেখক মিশর ভ্রমণকালে প্রতিনিয়ত নতুন প্রকৃতি ও জনজীবনকে উপভোগ করেছেন।সন্ধ্যায় মিশরের সুয়েজ বন্দরে অবতরণ করেই ক্ষণে ক্ষণে আকাশের রং বদলানোর চিত্র দেখতে পান।কায়রো শহরে পৌঁছে লেখক সেখানকার মানুষ ,জনজীবন ,খাদ্যাভ্যাসের বিস্তর অভিজ্ঞতা লাভ করেন।চাঁদের আলোতে নীলনদের রমনীয় দৃশ্য দেখে লেখক মুগ্ধ হয়েছেন।সবশেষে লেখক কায়রোর অদূরে পিরামিডের ঐতিহাসিক ও শৈল্পিক দিক তুলে ধরেছেন।
উদ্দীপকে কয়েকজন বন্ধু মিলে গ্রীস্মের ছুটিতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্য ভ্রমণে বের হয়।সেন্ট মার্টিনে গিয়ে তারা দেখল এ যেন স্বপ্নরাজ্যে পরিণত করেছে।তারা কচ্ছপের অবাধ ঘুরে বেড়ানো ,ডিম পাড়া,কাঁকড়ার দল প্রভূতি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এক নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করে।তাই বলা যায়,উদ্দীপকের ভ্রমনকারীরা যাত্রাপথে যে নিত্যনতুন সৌন্দর্য ও অভিজ্ঞতা উপভোগ করে,তার সাথে ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’রচনায় লেখকের মিশর ভ্রমণের মিল খঁজে পাওয় যায়।
ঘ) ‘সেন্ট মার্টিন না গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর এই লীলাভুমি অদেখাই থেকে যেত’-এই বক্তব্য অনুসরণে নীলনদের সৌ্ন্দর্য এর সাদৃশ্য দেখাও।
উত্তর:প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার দিক দিয়ে উদ্দীপকের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং ‘নীলনদ আর পিরামিমিডের দেশ’রচনার নীলনদের মধ্যে সাদৃশ্য র্নিমিত হয়েছে। নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’রচনায় লেখকের মিশর ভ্রমণের একটি নির্দিষ্ট স্থান দখল করে আছে নীলনদের বর্ণনা ।মোটর গাড়ি দ্রুত চলায় লেখক অনেক সৌন্দর্য উপভোগ করতে না পারলেও নীলনদের কাছে এসে তিনি এর রমনীয় দৃশ্য উপভোগ করলেন।চাঁদের আলোয় নীলনদের ওপর দিয়ে চলা তেকোণা পাল তোলা মহাজানি নৌকার দৃশ্য দেখে লেখক মুগ্ধ হয়েছেন।
উদ্দীপকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অপূর্ব দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে।এই দ্বীপে কোরাল পাথরের ছড়াছড়ি ।এটি যেন নীল পানির এক রাজপুরী।কচ্ছপের অবাধে ঘুরে বেড়ানো,কাঁকড়ার দল বেঁধে আল্পনা আঁকার দৃশ্য এই দ্বীপকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর এক লীলাভূমিতে পরিণত করেছে।
‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’রচনায় চাঁদের আলোয় নীলনদের অপরূপ সৌন্দর্য ধরা পড়েছে।অন্যদিকে উদ্দীপকে সেন্ট মার্টিনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর মনোমুগ্ধকর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে;যা না দেখলে প্রকৃতির সৌন্দর্য অনেক লীলাভূমিই অদেখা থেকে যেত।উপযুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে তাই বলা যায়,নীলনদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিচারে,মিশর ভ্রমণে না গেলে নীলনদের সৌন্দর্য ও অদেখাই রয়ে যেত।
প্রশ্ন ২.
ক)নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-এর লেখকের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’-এর লেখকের জন্মস্থান আসামের করিমগঞ্জ।
খ)এই নীলের জল দিয়ে এ দেশের চাষ হয় –কেন?
উত্তর:মিশরে নীলনদ ছাড়া অন্য কোনো পানির উৎস্ না থাকায় নীলনদের পানি দিয়ে চাষ করা হয়।
মরুভূমির দেশ মিশর।এখানে একমাত্র জলাশয় নীলনদ।এই অঞ্চলের চাষের কাজে তাই নীলনদের পানি ব্যবহার করা হয়।নীলনদ মিশরের শুষ্ক মাটিকে সরস করে।
গ)উদ্দীপকে কামাল ও তার বন্ধুদের ভ্রমণ আর লেখকের ভ্রমণের উদ্দেশ্য একই –ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:ইতিহাসের সন্ধানে ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’রচনার লেখক এবং উদ্দীপকের কামাল ও তার বন্ধু ভ্রমণ করেছে।
নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’একটি ভ্রমণকাহিনি ।ভ্রমণপিয়াসী লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী তার রচনার মধ্য দিয়ে একটি দেশ ও জাতির ইতিহাস –ঐতিহ্যের বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলেন।লেখক মিশরে গিয়ে ঐতিহাসিক পিরামিড দেখেছেন।পৃথিবীর এই সপ্তাশ্চর্য দেখে লেখক বিস্মিত হয়েছেন।জেনেছেন পিরামিড তৈরির পিছনের ইতিহাস।
উদ্দীপকের কামালও তার বন্ধু মুঘল সম্রাটের স্থাপত্য দেখতে ঢাকায় আসে।ঢাকা এসে সে লালবাগের দুর্গ দেখেছে,দেখেছে পরীবিবিরি মাজার ও শাহজাদা আজমের মসজিদ।কামালরা স্থাপত্যকলা দেখার সাথে সাথে জেনেছে মুঘলদের ইতিহাস।ইতিহাসের সন্ধানের বন্ধুসহ কামাল ও লেখক ভ্রমণে বের হয়েছে।তাই বলা যায়,কামাল ও তার বন্ধুদের উদ্দেশ্য এবং লেখকের ভ্রমণের উদ্দেশ্য এক।
ঘ) ‘লালবাগ দুর্গের স্থাপত্যশৈলীর সাথে পিরামিডের স্থাপত্যশৈলীর মিল খঁজে পাওয়া যায়।’মতটি বিশ্লেষণ কর।
উত্তর: ‘লালবাগ দুর্গের স্থাপত্যশৈলীর সাথে পিরামিডের স্থাপত্যশৈলীর মিল খঁজে পাওয়া যায়’-উক্তিটি যথার্থ।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’রচনায় মিশরের ঐতিহ্যের চিত্র ফুটে উঠেছে।মিশরের একটি অনবদ্য ঐতিহ্য হলো পিরামিড।ফারাওরা পাথর দ্বারা এই পিরামিড তৈরি করেছে।এই শক্ত পিরামিডে ফারাওদের মমি সংরক্ষণ করা হতো।এখন এই পিরামিড তার শৈল্পিক স্থাপত্যকলা হিসেবে ঐতিহ্যের অংশে পরিণত হয়েছে।
উদ্দীপকে ঢাকার লালবাগের দুর্গের কথা বলা হয়েছে।লালবাগের দুর্গ মুঘলদের স্থাপত্যশিল্প।এই দুর্গে মুঘলদের স্থাপত্য ঐশ্বর্য লুক্কায়িত আছে।এই দুর্গে রয়েছে পরীবিবির মাজার ।মুঘলদের মৃত্যুর পরে এই লালবাগের দুর্গে সমাধিস্থ করা হয়েছে। ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’রচনায় পিরামিডের স্থাপত্যশৈলী সম্পর্কে জানা যায়।পিরামিড ফারাওদের (সম্রাট)সৃষ্টি এবং মৃত্যুর পরে ফারাওদের এখানে মমি করে রাখা হত।উদ্দীপকের লালবাগের দুর্গ ঐতিহাসিক স্থাপত্যকলা।এটি মুঘলদের নির্মিত ,এখানে শায়িত আছে মুঘলরা।তাই বলা যায়,লালবাগের দুর্গের স্থাপত্যশৈলীর সাথে পিরামিডের স্থাপত্যশৈলীর মিল পাওয়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নৈব্যত্তিকের উত্তর

চট্টগ্রাম বোর্ড তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেট-গ তারিখ: ১২/০২/২০২০ উত্তরসমূহ : ১। ওয়ার্ড প্রসেসরে লেখালেখির জন্য বিভিন্ন স্টাইলের অক্ষর...