শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

দ্বিতীয় শ্রেণি বাংলা ( part -3 )


***ট্রেন***
শামসুর রহমান
১.শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি ।অর্থ বলি।
উত্তর:ঝক ঝকাঝক-ঝকঝক শব্দ।
রাত দুপুরে-মাঝ রাতে।
জিরোয়-বিশ্রাম নেয়।
ফের-আবার।
পেরুলেই-পার হলেই।
বাজনা-বাদ্য বাজানোর শব্দ।
বেশ-ভালো।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
রাত দুপুরে, ঝক ঝকাঝক, জিরোয়, বাজনা, ফের, পেরুলেই, বেশ।
উত্তর:
ক.এখানে আমি বেশ আছি।
খ.রাত দুপুরে শিয়াল ডাকে।
গ.মাঠ পেরুলেই নদী দেখা যায়।
ঘ.কাজ শেষে তারা জিরোয়।
ঙ.এখানে আমি ফের আসব।
চ.ঝক ঝকাঝক শব্দ করে ট্রেন চলে।
ছ.বিয়ে বাড়িতে বাজনা বাজে।
৪.বিপরীত শব্দ জেনে নেই।ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
রাত-দিন, দেশ-বিদেশ, ছোটা থামা।
উত্তর:
ক.আমরা সারা দিন অনেক মজা করলাম।
খ.বিদেশ থেকে মামা এসেছেন।
গ.সামনে এগিয়ে যেতে হলে থামা যাবে না।
৫.ডান দিকে থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে খালি জায়গায় বসাই।
উত্তর:
ক.মাঠ পার হলেই বন।
খ.পুলের উপর বাজনা বাজে।
গ.মজার গাড়ি হঠাৎ করে থামবে।
ঘ.ট্রেন দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ায়।
৬. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক.ট্রেন চলার সময় কেমন শব্দ করে?
উত্তর:ট্রেন চলার সময় ঝক ঝকাঝক শব্দ করে।
খ.মাঠ পেরুলেই কী দেখা যায় ?
উত্তরর:মাঠ পেরুলেই বন দেখা যায়।
গ.পুলের উপর ট্রেন কেমন শব্দ করে?
উত্তর:পুলের উপর ট্রেন ঝনঝনা ঝনঝন শব্দ করে।
ঘ.ট্রেন কোথায় ঘুরে বেড়ায়?
উত্তর:ট্রেন দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ায়।
ঙ.ইচ্ছে হলে ট্রেন কী করে?
উত্তর:ইচ্ছে হলে ট্রেন বাঁশি বাজায়।
চ.ট্রেন কেমন শব্দ করে থামে?
উত্তর:ট্রেন খক শব্দ করে একটু কেশে থামে।
৭.মিল খুঁজে বের করি ও দাগ টেনে মিলাই।
উত্তর:অই-কই
শেষ- বেশ
বন -ঝন
খক- ঝক
৮.ছড়া: আমার ট্রেন
উত্তর: আমার ট্রেন চলে ভালো
আমার ট্রেন আঁকাবাঁকা
আমার ট্রেন নানা রঙের
আমার ট্রেন নকশা আঁকা
আমার ট্রেন যায় না দূরে
আমার ট্রেন ছুটছে একা
আমার ট্রেন চলছে ফাঁকা
এই আমার ট্রেন।
দুখুর ছেলেবেলা
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি ।অর্থ বলি।
ঝাঁকরা –ঘন গোছা।
বাদাড়-জঙ্গল।
টলটলে-পরিষ্কার।
মকতব-মুসলমান বালক-বালিকাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ডাঁশা-পাকা ও কাঁচার মাঝামাঝি।
সুরেলা-খুব মধুর সুর।
মুগ্ধ-বিভোর।
জাতীয়-জাতির নিজস্ব।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
বাদাড়ে, ডাঁশা, টলটলে, সুরেলা, মুগ্ধ, মকতব, ঝাঁকড়া, জাতীয়।
উত্তর:
ক.তাল পুকুরের পানি টলটলে।
খ.বনে বাদাড়ে সাপ থাকে।
গ.নজরুলের মাথায় ছিল ঝাঁকড়া চুল।
ঘ.দুখুদের গ্রামে একটা মকতব ছিল।
ঙ.ডাঁশা পেয়ারা খেতে খুব মজা ।
চ.শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল।
ছ.দুখু মিয়ার গান শুনে সবাই মুগ্ধ হতো।
জ.একটা সুরেলা আওয়াজ শুনলাম।
৪. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক.দুখুর আসল নাম কি?
উত্তর:দুখুর আসল নাম কাজী নজরুল ইসলাম।
খ.দুখু দেখতে কেমন ছিল?
উত্তর:দুখুর মাথায় ঝাঁকড়া চুল ছিল।তার চোখ দুটি ছিল বড় বড়।
গ.সকালে কিসের ডাকে দুখুর ঘুম ভাঙে?
উত্তর:সকালে পাখির ডাকে দুখুর ঘুম ভাঙে।
ঘ.দুখু দলবল নিয়ে কী করে?
উত্তর:দুখু দলবল নিয়ে খেলা করে।বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়।তাল পুকুরের টলটলে পানিতে সাঁতার কাটে।
ঙ.কাঠবিড়ালিকে দেখে দুখুর কী ইচ্ছে হয়?
উত্তর: কাঠবিড়ালিকে দেখে দুখুর ইচ্ছে হয় কাঠবিড়ালি হতে।
চ.আমাদের জাতীয় কবির নাম কি?
উত্তর: আমাদের জাতীয় কবির নাম কাজী নজরুল ইসলাম।
৫.জোড় শব্দগুলো দিয়ে নতুন বাক্য তৈরি করি।
উত্তর:ডাঁশা ডাঁশা-গাছের পেয়ারাগুলো ডাঁশা ডাঁশা হয়েছে।
শাখায় শাখায় –গাছের শাখায় শাখায় কাঠবিড়ালি ঘোরে।
থোকা থোকা-আম গাছের পাতা থোকা থোকা হয়।
তরতর-চারা গাছটি তরতর করে বড় হচ্ছে।
৬.আমাদের জাতীয় কবি সম্পর্কে তিনটি বাক্য লিখি।
উত্তর:
i.আমাদের জাতীয় কবির নাম কাজী নজরুল ইসলাম।
ii.ছোটবেলায় তাঁকে সবাই দুখু মিয়া বলে ডাকত।
iii.তিনি ছোটদের জন্য অনেক কবিতা লিখেছেন।
***প্রার্থনা***
সুফিয়া কামাল
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি ।অর্থ বলি।
প্রার্থনা-কোনো কিছু চাওয়া।
রহিম-যাঁর অনেক দয়া।
রহমান-করুনাময় আল্লাহ।
ধরণী-পৃথিবী।
মোদের-আমাদের।
কন্ঠ-গলা।
মমতা-মায়া।
মধুর-খুব মিষ্টি।
সৎ-ভালো।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
রহিম, ধরণী, প্রার্থনা, রহমান, মোদের, সত্, কন্ঠে, মমতার, মধুর।
উত্তর:
ক.স্রষ্টার এক নাম রহিম।
খ.আমদের ধরণী ফুলেফলে ভরা।
গ.মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা।
ঘ.আমদের উচিত সত্ পথে চলা।
ঙ.তিনি সুরেলা কন্ঠে গান গাইছেন।
চ.মায়ের মমতার তুলনা হয় না।
ছ.স্রষ্টার আরেক নাম রহমান।
জ.কোকিল মধুর সুরে গান গায়।
ঝ.তিনি ভোরে উঠে প্রার্থনা করেন।
৪. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক.সুন্দর ধরণী কে দান করেছেন?
উত্তর:রহিম রহমান আল্লাহ এই সুন্দর ধরণী দান করেছেন।
খ.আমাদের কাছে কারা আপন?
উত্তর:মাতা পিতা, ভাই ,বোন ও স্বজন সবাই আমাদের কাছে আপন।
গ.আমরা কেমন পথে চলতে চাই?
উত্তর:আমরা সরল,সহজ ও সত্ পথে চলতে চাই।
ঘ.কবিতায় কবি কাকে না ভুলে যাওয়ার কথা বলেছেন এবং কেন?
উত্তর:কবিতায় কবি সৃষ্টিকর্তাকে না ভুলে যাওয়ার কথা বলেছেন।কারণ তিনি আমাদের সুন্দর ধরণী দান করেছেন।
৫.পরের চরণ বলি ও লিখি।
উত্তর:
কত সুন্দর করিয়া ধরণী
মোদের করেছ দান,
তাই যেন মোরা
তোমারে না ভুলি।
৬.রেখা টেনে মিল করি।
বাবা-মা, চাচা-চাচি, ভাই-বোন, দাদা-দাদি, নানা-নানি, মামা-মামি, ফুফা-ফুফু , খালু-খালা।

কোন মন্তব্য নেই:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নৈব্যত্তিকের উত্তর

চট্টগ্রাম বোর্ড তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেট-গ তারিখ: ১২/০২/২০২০ উত্তরসমূহ : ১। ওয়ার্ড প্রসেসরে লেখালেখির জন্য বিভিন্ন স্টাইলের অক্ষর...