শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

পঞ্চম শ্রেনি - (part-2)


সুন্দরবনের প্রাণী
১.শব্দগুলো পাঠ থেকে খুজেঁ বের করি।অর্থ বলি।
অপার,সম্ভার ,রয়েল,ভয়ঙ্কর ,অমূল্য, বিলুপ্ত
শব্দাঅর্থ :
অপার –অগাধ,অসীম। সম্ভার –বিভিন্ন উপাদান ,বিভিন্ন জিনিস ।
রয়েল-রাজকীয়। ভয়ঙ্কর-ভীষণ, ভীতিজনক ,অত্যন্ত।
অমূল্য –যার মূল্য নির্ধারণ করা যিায় না । বিলুপ্ত-যা লোপ পেয়েছে।
২.ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি ।র অমূল্য ,অপার ,সম্ভার ,রয়েল ,ভয়ঙ্কর ,বিলুপ্ত
উত্তর :ক.বাংলাদেশ অপার সৌন্দর্যে ভরপুর।
খ.প্রকৃতির অপার সম্ভার সমুদ্রের নিচে রয়েছে ।
গ.বাংলাদেশের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ।
ঘ.বাঘ দেখতে যেমন সুন্দর ,তেমনি আবার ভয়ঙ্কর ।
ঙ.রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ ।
চ.শকুন বাংলাদেশে এখন বিলুপ্ত প্রায় পাখি।
৪.নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক.ক্যাঙ্গারু ও সিংহ বললেই কোন কোন দেশের কথা মনে হয়?
উত্তর :ক্যাঙ্গারু ও সিংহ বললেই অস্টেলিয়া ও আফ্রিকার কথা মনে হয় ।
খ.বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে তুমি যা জান লেখ ?
উত্তর :বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে আমি যা জানি তা তুলে ধরা হলো –
১.রয়েল বেঙ্গল টাইগার :বাঘদের সবচেয়ে বিখ্যাত হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার ।বিখ্যাত এই বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবন ।গায়ে ডোরাকাটা যেমন দেখতে সুন্দর তেমনি ভয়ঙ্কর ।
২.চিতাবাঘ:সবচেয়ে দ্রুত গতির বাঘ হলো চিতাবাঘ।এছাড়াও এই বাঘের অন্যতম বৈশিষ্ট হলো এরা গাছে উঠতে পারে ,যা অন্যান্য বাঘ পারে না ।
৩.ওলবাঘ.একসময় অন্যান্য বাঘের পাশাপাশি সুন্দরবনে ওলবাঘ নামে এক জাতীয় বাঘ ছিল।কিন্তু বর্তমানে এ ধরনের বাঘ আর দেখা যায় না ।
গ.দেশের জন্য পমুপাখি ,জীবজন্তু কী উপকার করে তা নিজের ভাষায় লেখ?
উত্তর :পশুপাখি ও জীবজন্তু ,দেশের অমূল্য সম্পদ ।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।দেশকে নানাপ্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষার পেছনে এসব প্রাণিকুলের অবদান রয়েছে ।একটি ঐতিহ্য রক্ষায় কোনো কোন প্রাণীর গুরুত্ব অবদান ।যেমনঃরয়েল বেঙ্গল টাইগারের সাথে বাংলাদেশ ,ক্যাঙ্গারুর সাথে অস্টেলিয়া এবং সিংহের নাম বললেই আফ্রিকার কথা মনে পড়ে যায়।
ঘ. শকুন কীভাবে মানষের উপকার করে?
উত্তর:শকুন আমাদের চারপাশের যাবতীয় অখাদ্যকে নিজের খাদ্য হিসাবে বিবেচনা করে ।মানুষের পক্ষে যা কিছু ক্ষতিকর ,সেই আর্বজনা কেয়ে ফেলে শকুন আমাদের চারপাশ বসবাসের উপযোগী করে রাখে ।আর এভাবে নোংরা আর্বজনা দূর করে শকুন মানুষের উপকার করে ।
ঙ.পশুপাখি জীবজন্তু না থাকলে প্রকৃতির কী বিপর্যয় ঘটবে বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তর :গাছপালার মতোই বন্য পশুপাখি জীবজন্তু স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষার জন্য অপরিহার্য।এরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে ।পৃথিবীতে কোন প্র্রাণীই অপ্রয়োজনীয় নয় ,কোন না কোনভাবে তারা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখে । যেমন :শকুন মানুষের যা ক্ষতিকর সেইসব আর্বজনা খেয়ে পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখে ।কেচোঁ মাটির উর্বরতা বাড়ায় ।পৃথিবীতে পশুপাখি – জীবজন্তু না থাকলে পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাঘাত ঘটত ।ফলে দেখা দিবে নানা রকম প্রাকৃতিক দূর্যোগ।এসবের কারণে পৃথিবীতে মানুষের জীবনধারণ হুমকির মধ্যে পড়বে বলে আমার মনে হয় ।
৫.নিচের বাক্য দুটি পড়ি।
নিচর বাক্য গুলোতে কী কী পদ আছে তা লেখ।
সুন্দরবনে বাঘ ছাড়াও আছে নানা রকমের হরিণ ।কোনিটার বড় বড় শিং ,কোনটার গাঢে আবার ফোটা ফোটা সাদা দাগ।এদের বলে চিত্রা হরিণ ।
উতাতর : নিচে সেগুলো আলাদা করে দেখানো হলো –
বিশেষ্য-সুন্দরবনে ,বাঘ,রকমের ,হরিণ,শিং ,গায়ে ,দাগ।
বিশেষন-নানা,বড় বড়,ফোটা ফোটা ,চিত্রা ,সাদা।
সর্বনাম-কোনটার ,এদের ।
ক্রিয়া-আছে ,বলে। অব্যয়-ছাড়াও।
৬.নিচের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশের যে কোন একটি প্রাণি সম্পর্কে রচনা লিখি।
উত্তর:
সূচনা:হাতি পৃথিবীর বৃহৎ স্থলচর প্রাণী ।এটি শরীরের দিক থেকেই বড় নয় ,বুদ্ধিতেও অন্যান্য পশুকে হার মানায় ।এটি দলবদ্ধভাবে চলতে পছন্দ করে ।
আকৃতি:হাতির মাথা প্রকান্ড বড় ও গোলাকার ।কান দুটি কুলার মতো ।এর চারটি বড় বড় থামের মতো পা আছে।এর লেজ ও চোখ শরীরের তুলায় অনেক ছোট ।এর লম্বা একটি শুঁড়ও মুলার মতো দুটি দাঁত আছে ।এরা ৭ থেকে ৮ হাত উঁচু এবং ৮থেকে ১০ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়।হাতি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে হাঁটতে পারে ।
প্রকৃতি:হাতি গভীর অরণ্যে থাকার সময় অত্যন্ত হিংস্র থাকে ।এ সময় এরা কোন প্রাণীকে কাছে ঘেঁষতে দেয় না ।তবে পোষ মানলে এরা শান্ত হয় ।পায়ের তলায় নরম মাংসপিন্ড থাকায় এদের চলা সময় কোন শব্দ হয় না ।এরা ৭০ থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত বাচেঁ।
রং:হাতি সাধারণত ধূসর বণের হয়ে থাকে ।তবে অঞ্চল ও প্রজাতিভেদে কিছু হাতি ঈষৎ কালচে বা ঈষৎ সাদা বর্ণের হয়ে থাকে ।এছাড়াও হাতির কোনো কোনো প্রজাতি সাদা বর্ণের হয় ।আমাদের সাধারণত ধূসর বর্ণের হাতিই দেখা যায় ।
যেসব স্থানে দেখা যায় :পৃথিবীর নানা দেশে হাতির দেখা মিলে ।এছাড়াও পাহাড়ি অঞ্চলে এদের পাওয়া যায় ।এরা দলবদ্ধভাবে থাকে ।এরা বাংলাদেশের বান্দরবন ,রাঙামাটি ,খাগড়াছড়িও কক্সবাজার জেলায় বাস করে ।এছাড়া ও ভারত,লাওস ,ভিয়েতনামা,নেপাল,মিয়ানমার,থাইল্যান্ডও আফ্রিকার জঙ্গলে হাতি পাওয়া যায় ।আবাসস্থল:হাতি গভীর অরণ্যে বাস করে ।
খাদ্যাভ্যাস :হাতির প্রিয় খাদ্য কলাগাছ ।এছাড়াও জঙ্গলের লতা-পাতা,ঘাস ও অন্যান্য শস্য এরা খায়।একেকটি হতি দৈনিক গড়ে ২৫০ কেজি খাবার খায়।
উপসংহার:হাতি আমাদের দেশের প্রণিসম্পদ ।বর্তমানে অবৈধভাবে হাতি শিকারের কারণে দিন দিন এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে ।তাই অবৈধভাবে হাতি শিকারের হাত থেকে এদেরকে বাঁচাতেসরকারি ওবেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে ।
৭.ঠিক উত্তরটিতে টিক চিহ্ন দেই ।
উত্তর:ক.৩.অস্ট্রেলিয়া খ.১.সিংহ
গ.৩.রাঙামাটি ও বান্দরবনের ঘ.২.শকুন
ঙ.২.চিত্রা হরিণ

কোন মন্তব্য নেই:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নৈব্যত্তিকের উত্তর

চট্টগ্রাম বোর্ড তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেট-গ তারিখ: ১২/০২/২০২০ উত্তরসমূহ : ১। ওয়ার্ড প্রসেসরে লেখালেখির জন্য বিভিন্ন স্টাইলের অক্ষর...