**** সততার পুরস্কার ***
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
বহুনির্বাচনী প্রশ্নও উত্তর:
১.ফেরেশতা কেন ইহুদিদের কাছে এসেছিলেন?
উত্তর:খ).পরীক্ষা নেওয়ার জন্য।
২.তৃতীয় ব্যক্তি ফেরেশতাকে সবকিছু দিতে রাজি হয়েছিলেন কেন?
উত্তর:ক).আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকায়।
৩.উদ্দীপকের নওশাদ এবং ‘সততার পুরস্কার’গল্পের তৃতীয় ব্যক্তির মানসিকতা কোন দিক থেকে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ?
উত্তর:খ).পরোপকারিতা।
৪.উদ্দীপকের কাশিম এবং গল্পের প্রথম দুই ব্যক্তির আচরণে প্রকাশ পেয়েছে-
উত্তর:
প্রশ্ন:১.
ক)স্বর্গীয় দূত কতজন ইহুদিকে পরীক্ষা করেছিলেন?
উত্তর: স্বর্গীয় দূত তিনজন ইহুদিকে পরীক্ষা করেছিলেন।
খ)স্বর্গীয় দূত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন কেন?
উত্তর:স্বর্গীয় দূত নূরের তৈরি বলে কেউ তাদের দেখতে পায় না,এ জন্য মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন।
ইহুদি বংশের তিনজন লোককে পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ একজন ফেরেশতা অর্থাৎ স্বর্গীয় দূত পাঠান।তারা নূরের তৈরি বলে কেউ তাদের দেখতে পায় না ।আবার দেখতে পেলে হয়তো পরীক্ষার ব্যাপারটা ঠিকমতো হবে না। এ জন্য স্বর্গীয় দূত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন।
গ)কালাম ও আবুলের মাঝে ‘সততার পুরস্কার’গল্পের যে দিকটি প্রতিফলিত তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কালাম ও আবুলের মাঝে ‘সততার পুরস্কার’গল্পে প্রথম দুজন ইহুদির অকৃতজ্ঞতার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। ‘সততার পুরস্কার’গল্পে ইহুদি বংশের তিনজন লোককে ফেরেশতা পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ্ একজন ফেরেশতা পাঠিয়েছিলেন।ফেরেশতা আল্লাহর তরফ থেকে তাদের সমস্যা মিটিয়ে তিনজনকে তিনটি উপহার দিয়েছিলেন যাতে তারা প্রত্যেকেই সচ্ছল হতে পারে।কিছূ দিন পর এদের পরীক্ষা করার জন্য ফেরেশতা গরিব বিদেশীর ছদ্মবেশে আবার হাজির হয়ে সাহায্য চাইলেন।প্রথম দুজন তাদের আগের দরিদ্র অবস্থার কথা অস্বীকার করে ছদ্মবেশী ফেরেশতাকে সাহায্য না করে তারা আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দেয়। উদ্দীপকের হাজি মকবুল সাহেব তার যাকাতের টাকা থেকে কালামকে ভ্যান গাড়ি,আবুলকে রিক্সা ও হাফিজকে একটা সেলাই মেশিন কিনে দিয়ে তাদের পরিশ্রম করে খেতে এবং সাধ্যমত গরিবদের সাহায্য করতে বলেছেন।কিছুদিন পর তাদের পরীক্ষা করার জন্য হাজি সাহেব একজন ভিক্ষুককে পাঠান।হাফিজ বিনে পয়সায় ভিক্ষুকের জামা সেলাই করে দিলেও আবুল কোনো সাহায্যে করল না।কালাম ও আবুলের কাজের মাঝে ‘সততার পুরুস্কার’ গল্পের এই অকৃতজ্ঞতার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ)হাফিজের কাজের মধ্যেই ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূল শিক্ষা নিহিত –কথাটি বিশ্লেশন করো
উত্তর: হাফিজের কাজের মধ্যেই ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূল শিক্ষা নিহিত –উপকারীর প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরুপ তার নির্দেশিত পথে অন্যের উপকারে লাগার দিক থেকে কথাটি যথার্থ। ‘সততার পুরস্কার’গল্পে আল্লাহ মানুষের ছদ্মবেশে ফেরেশতা পাঠিয়ে তিনজন ইহুদির শারীরিক ত্রুটি দূর করে প্রথম জনকে উট,দ্বিতীয় জনকে গাভী এবং তৃতীয় জনকে একটি ছাগলের মালিক করে দেন।কিছুদিন পর আবার ফেরেশতা এক গরিব বিদেশির ছদ্মবেশে হাজির হয়ে তিজনকে অতীতের দূরবস্থার কথা স্নরণ করিয়ে দিয়ে তাদের কাছে সাহায্য চান।প্রথম দুজন অতীতের কথা স্বীকার না করলেও তৃতীয় জন তা স্বীকার করে কৃতজ্ঞতার পরিচয় দেন।তৃতীয় জনের সততায় খূশি হয়ে আল্লাহ তার সম্পদ বহাল রাখেন আর প্রথম দুজনের উপর নাখোশ হয়ে তাদের আগের দরিদ্র অবস্থায় ফিরিয়ে দেন। উদ্দীপকের কালাম,আবুলও হাফিজ একই গ্রামের বাসিন্দা এবং তাদের কারোই অবস্থা ভালো নয়।হাজি মকবুল সাহেব তার যাকাতের টাকা থেকে কালামকে ভ্যান গাড়ি আবুলকে রিক্সা ও হাফিজকে একটি সেলাই মেশিন কিনে দেন।তার উদ্দেশ্য হলো তারা পরিশ্রম করে খাবে আর সাধ্যমতো সাহায্যে নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে।তাদের পরীক্ষা করার জন্য হাজি সাহেব এক ভিক্ষুককে পাঠালে আবুল ও কালাম কোনো সাহায্য করেনি,কিন্তু হাফিজ বিনা পয়সায় তার জামা সেলাই করে দিয়ে সততা ও পরোপকারিতার পরিচয় দিয়েছে। উপযুক্ত আলোচনা ও বিশ্লেষন থেকে দেখা যায়,উদ্দীপকের হাফিজ একজন সৎ ও পরোপকারী ব্যক্তি ।সে কালাম ও আবুলের মতো অকৃতজ্ঞ নয় এবং গল্পের বক্তব্যও অভিন্ন ।কাজেই নির্দ্বিধায় বলা যায়,হাফিজের কাজের মধ্যেই ‘সততার পুরুস্কার’ গল্পের মূল শিক্ষা নিহিত।
**** মিনু ****
বনফুল
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর:
১.মিনুর সই কে?
উত্তর:ঘ).শুকতারা।
২. ‘মিনুর বাবা অনেক দূর দেশে আছে’-এখানে ‘দূর দেশে’ বলতে কোনটিকে বুঝানো হয়েছে?
উত্তর:গ).পরপার।
৩.উদ্দীপকটিতে ‘মিনু’গল্পের যে বিষয়টি ল্ক্ষ করা যায় তা হলো-
উত্তর:ক).আত্নীয়ের অনাদর অবহেলা ।
৪.উদ্দীপকটিতে মিনু ও ফটিকের পরিণতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য-
উত্তর:গ).iiওiii।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর:
১.ক)মিনু কার বাড়িতে থাকত?
উত্তর:মনি তার দূর সম্পর্কের পিসিমার বাড়িতে থাকত।
খ)ষ্ষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
উত্তর:ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলতে চোখ,কান,নাক,জিভ ও ত্বকের বাইরে বাইরে বিশেষ কিছু অর্থাৎ মনকে বোঝানো হয়েছে। মিনু বোবা পাশাপাশি ঈষৎ কালাও।তাকে অনেক জোরে ডাকলে শুনতে পেলেও সব কথা তার শোনা দরকার হয় না।ঠোঁট নাড়া আর মুখের ভাব দেখেই সে সব বুঝতে পারে ।এছাড়া তার মন নামে একটি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় রয়েছে যার সাহায্যে সে সব জিনিস বুঝতে পারে এবং সে এমন জিনিস মনে মনে সৃষ্টি করে ,যার সাধারণ বুদ্ধিতে কোনো অর্থ হয় না ।এই মন নামক ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে সে অনেক অসাধ্য কে সাধন করেছে।
গ)অবস্থানগত দিক থেকে উদ্দীপকের বন্যা ও মিনুর মধ্যে যে বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়-তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:অবস্থানগত দিক থেকে উদ্দীপকের বন্যা ও মিনুর মধ্যে যে বৈসাদৃশ্য দেখা যায় তা হচ্ছে –মিনু আশ্রিতা আর বন্যা কাজের মেয়ে। মিনু তার মা-বাবার মৃত্যুর পর থেকে তার দূর সম্পর্কের পিসিমার বাড়িকে বাড়িতে থাকে।সে খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে এবং উঠেই সে উঠোনে গিয়ে শুকতারার দিকে তাকায়।সে কয়লা ভেঙে উনুনে আগুন জ্বালিয়ে রান্নার কাজ করে।তারপর সে তার পিসিমা ঘুম থেকে ওঠার আগেই ঘরের সব কাজ শেষ করে।সে সংসারের নানা জিনিসকে নানান নাম দিয়ে আনন্দের মাধ্যমে তার কাজ শেষ করে। উদ্দীপকের বন্যা সুস্থ স্বাভাবিক একটি মেয়ে ।সে মিসেস সালমাকে খালা বলে ডাকে ।মিসেস সালমার যাবতীয় কাজে বন্যা সাহায্য করে।কাজ করার পাশাপাশি সে দিবা শিখার একটি স্কুলে পড়ে।এজন্য অবস্থানগত দিক থেকে উদ্দীপকের বন্যা ও ’মিনু’ গল্পের মিনুর মধ্যে বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ) ‘বন্যার শিক্ষা ছিল প্রাতিষ্ঠানিক ,আর প্রকৃতি হচ্ছে মিনুর পাঠশালা’-কথাটি বিশ্লেষন কর।
বন্যা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পেলেও মিনুর জীবন ছিল প্রকৃতি নির্ভর যা তার অবাধ শিক্ষালয়। অনাথ মেয়ে মিনু বাক্ ও শ্রবণ প্রতবিন্ধী এতিম হওয়ায় সে দূর সম্পর্কের এক পিসির বাসায় পেটে ভাতে কাজ করে।গৃহকর্ম ও রান্নার কাজ সে ঠিকমতো করলেও গৃহকর্ত্রীর মন সে পায় না ।কিন্তু জীবনকে তুচ্ছ না ভেবে প্রকৃতির আশ্যয় নেয়।প্রকৃতি থেকে কর্মপ্রেরণা নেওয়া ,তাদের সাথে মিতালি করা এবং ভাব বিমিয় করা তার নিত্য কাজ হয়ে ওঠে।সে ভোরের পুব আকাশের শুকতারাকে সই বানিয়েছে,সূর্যর নতুন আলোকে নিজের চল্লির সাথে তুলনা করে।পিপিলিকা ছাড়াও রান্নাঘরের সকল বাসন তার বন্ধু ,মুক্ত আকাশের দিকে চেয়ে থাকে এবং হলুদ পাখি দেখে পিতার কলিপত আগমণে সে পুলক অনুভব করে।এভাবেই সে প্রকৃতিতে থেকে শিক্ষা ও শান্তি খুঁজে পায়। উদ্দীপকের বন্যা মিসেস সালমার বাড়ির কাজের মেয়ে হলেও সে পড়াশোনার সুযোগ পায়।সে দিবা শিখার একটি স্কুলে পড়ে।মন দিয়ে সে কাজ করে এবং পড়ালেখায় সময় ব্যয় করে বলে প্রকৃতির সাথে তার তেমন সম্পর্ক হয় না ।লেখাপড়া ও কাজের প্রতি মনোযোগের কারণে মিসেস সালমা তাকে পরিবারের একজন সদস্য মনে করে। মিনু বাক্ প্রতিবন্ধী হলেও সে আশাবাদী ও স্বপ্নচারী ।বাহ্যিক শিক্ষা না পেলেও সে প্রকৃতির কাছ থেকে ও কর্মপ্রেরণা ,কাজের তুলনা এবং বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে।অন্যদিকে বন্যা কাজের মেয়ে হলেও গৃহকর্ত্রী সালমার সাহায্যে সে স্কুলে পড়ার সুযোগ লাভ করে স্বাভাবিক জীবনযাপন লাভ করে।তাই বলা যায় ,বন্যার শিক্ষা ছিল বাহ্যিক এবং মিনুর শিক্ষা ছিল প্রকৃতি নির্ভর ।
প্রশ্ন:২.
ক)মিনুর বয়স কত?
উত্তর:মিনুর বয়স ছিল দশ বছর
খ)শুকতারাকে মিনু সেই মনে করে কেন?ব্যাখ্যা কর
উত্তর:মিনুর মতো শুকতারাও খুব ভোরে ওঠে বলে সে তাকে সই মনে করে। এতিম মেয়ে বাক্ শ্যবণ প্রতিবন্ধী ।তাই সে দূর সম্পর্কের এক পিসির বাসায় পেটেভাতে কাজ করে।প্রতিদিন ভোর চারটায় সময় ওঠেই সে পুব আকাশের শুকতারাকে দেখতে পায়।সে ভাবে ,তার যেমন ভোরে উঠে কাজ করতে হয় তেমনি শুকতারাও ভোরে উঠে তার মতো কয়লা জ্বালিয়ে কাজ করে।তাই প্রতিদিন ভোরে শুকতারাকে উঠা দেখেই মিনু তাকে মনে,মনে সই ভাবে ও সম্বোধন করতে।
গ)উদ্দীপকের ফটিক ও ‘মিনু’ গল্পের মিনুর মধ্যে বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর
উত্তর:ফটিক ও মিনুর মধ্যে চরিত্র ও অবস্থানগত পার্থক্য রয়েছে। ‘মিনু’গল্পে মিনু ছিল বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ।অনাথ এই মেয়েটি পিসিমার বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করত।প্রকৃতির বিভিন্ন অনুসঙ্গের সাথে তার ছিল ঘনিষ্ঠ ভাব।সে অত্যন্ত শান্তভাবে জীবনযাপন করবে করত। উদ্দীপকের ফটিক দূরন্ত বালক।বিধবা মায়ের সন্তান ফটিক নতুন আকর্ষনে কলকাতায় মামার বাড়িতে সে গৃহপরিচারিকার কাজ করে না।আর এখানেই ফটিকের সাথে ‘মিনু’ গল্পের মিনুর বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান
ঘ) ‘ফটিক ও মিনুর পরিণতি ভিন্ন হলেও উভয়ের বেড়ে ওঠার পরিবেশ ছিল প্রতিকূল।’উক্তিটি যথার্থতা যাচাই কর
উত্তর:ফটিক ও মিনুর করুন পরিণতি ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হয় এবং তাদের জীবন ধারার পরিবেশও ছিল অন্তরায় ।তাদের মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। ’মিনু’গল্পের মিনু মাত্র দশ বছর বয়সে মা-বাবাকে হারিয়ে এক পিসিমার বাড়ির আশ্রিতা ।সে একাই পিসিমার বাড়ির সব কাজ করে।পিসিমা তার প্রতি কোনো খেয়াল রাখে না।তার জ্বর হলে সে পিসিমাকে বলে না,কারণ সে ভাবে ,যদি পিসিমা জ্বর হওয়াকে অপরাধ হিসেবে নেয়।এ থেকে প্রমাণিত হয় মিনুর পিসিমা তাকে চরম অবহেলা করে। উদ্দীপকের ফটিক পড়াশোনার জন্য মামার বাড়ি কলকাতায় গেলেও সে তাদের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না ।কারণ সে পল্লি-প্রকৃতির এক দুরন্ত বালক।শহরের বন্দি জীবন তার কাছে অসহ্য মনে হয়। তাছাড়া তার মামি তাকে সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি।সর্বোপরি প্রকৃতির প্রতি টান ,মামির অবহেলা,অনাদর,তিরস্কার ফটিকের জীবনে করুন পরিণতি ডেকে আনে। উদ্দীপকে ফটিকের করুন পরিণতি সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে,কিন্তু ‘মিনু’গল্পে মিনুর পরিণতি স্পষ্ট নয়।মিনুকে তার পিসিমা অবহেলা করে ঠিকই কিন্তু তিরস্কার করেনি কিন্তু ফটিককে তার মামি তিরস্কার করে।তাছাড়া ফটিক গ্রামের ছেলে বলে শহরের পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেনি যা,তার পরিণতিকে ত্বরান্বিত করেছে।কিন্তু মিনুর ক্ষেত্রে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।তাই এ কথা বলা যায় যে,মিনু ও ফটিকের পরিণতি এক নয় এবং তাদের জীবন গঠনের পরিবে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন