নবী হয়রত মুহাম্মদ [ ﷺ ] এর নূর দেহের ১০টি দলিল।
এবার আমরা নূরের দেহের পক্ষের কিছু রেওয়ায়াত পেশ করে প্রমাণ করবো- নবী করীম [ ﷺ ]-এঁর দেহ মোবারকও নূরের তৈরী ছিল। যথাঃ-
১ যারকানী শরীফ ৪র্থ খন্ড ২২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছেঃ
ﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَﻪٗ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻇِﻞُّ ﻓِﻰ ﺷَﻤْﺲٍ ﻭَﻻَ ﻗَﻤَﺮٍ ﻟِﺎَﻧَّﻪٗ ﻛَﺎﻥَ ﻧُﻮْﺭًﺍ
অর্থঃ- “সূর্য চন্দ্রের আলোতে নবী করীম [ ﷺ ]-এঁর দেহ মোবারকের ছায়া পড়তো না। কেননা, তিনি ছিলেন আপাদমস্তক নূর।” (যারকানী)
২ ইমাম কাযী আয়ায ( ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ) শিফা শরীফের ১ম খন্ড ২৪২ পৃষ্ঠায় লিখেনঃ
ﻭَﻣَﺎ ﺫُﻛِﺮَﻣِﻦْ ﺍَﻧَّﻪٗ ﻛَﻦَ ﻻَ ﻇِﻞَّ ﻟِﺸَﺨْﺼِﻪٖ ﻓِﻰ ﺷَﻤْﺲٍ ﻭَﻻَ ﻗَﻤَﺮٍ ﻟِﺎَﻧَّﻪٗ ﻛَﺎﻥَ ﻧُﻮْﺭًﺍ
অর্থঃ- নূরের দলীল হিসেবে ছায়াহীন দেহের যে রেওয়ায়াত পেশ করা হয়, তা হচ্ছে- “দিনের সূর্যের আলো কিংবা রাতের চাঁদের আলো- কোনটিতেই হুযুর [ ﷺ ]-এঁর দেহ মোবারকের ছায়া পড়তো না। কারণ তিনি ছিলেন আপাদমস্তক নূর।” (শিফা শরীফ)
৩ আশ্রাফ আলী থানবী সাহেব তার ﺷُﻜْﺮُ ﺍﻟﻨِّﻌْﻤَﺔِ ﺑِﺬِﻛْﺮِﺭَﺣْﻤَﺔِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﺔ গ্রন্থের ৩৯ পৃষ্ঠায় স্বীকার করেছেন:-
ﻳﻪ ﺑﺎﺕ ﻣﺸﻬﻮﺭ ﻫﮯ ﻛﻪ ﻫﻤﺎﺭﮮ ﺣﻀﻮﺭ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﮯ ﺟﺴﻢ ﻛﺎ ﺳﺎﻳﻪ ﻧﻬﻴﻦ ﺗﻬﺎ ( ﺍﺱ ﻟﮱﻛﮯ ) ﻫﻤﺎﺭﮮ ﺣﻀﻮﺭ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺳﺮﺗﺎﭘﺎ ﻧﻮﺭ ﻫﻰ ﻧﻮﺭ ﺗﮩﮯ
অর্থঃ- “একথা সর্বজন স্বীকৃত ও প্রসিদ্ধ যে, আমাদের হুযুর [ ﷺ]-এঁর দেহের ছায়া ছিল না। কেননা আমাদের হুযুর [ ﷺ ]-এঁর মাথা মোবারক হতে পা মোবারক পর্যন্ত শুধু নূর আর নূর ছিলেন।” (শোক্রে নে’মত)
৪ ইমাম ইবনে হাজর হায়তামী ( ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ) ’আন-নে’মাতুল কোবরা’ গ্রন্থের ৪১ পৃষ্ঠায় হাদীস লিখেনঃ
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺍﻧﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ ﻛﻨﺖ ﺍﺧﻴﻂ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﺤﺮ ﺛﻮﺑﺎ ﻟﺮﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﺎﻧﻄﻔﺎ ﺍﻟﻤﺼﺒﺎﺡ ﻭﺳﻘﻄﺖ ﺍﻻﺑﺮﺓ ﻣﻦ ﻳﺪﻱ ﻓﺪﺧﻞ ﻋﻠﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﺄﺿﺎﺀ ﺍﻟﺒﻴﺖ ﻣﻦ ﻧﻮﺭ ﻭﺟﻬﻪ ﻓﻮﺟﺪﺕ ﺍﻻﺑﺮﺓ .
অর্থঃ- হযরত আয়েশা ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) হতে বর্ণিত- ”তিনি বলেন, আমি রাত্রে বাতির আলোতে বসে নবী করীম [ ﷺ ]-এঁর কাপড় মোবারক সেলাই করছিলাম। এমন সময় প্রদীপটি (কোন কারণে) নিভে গেল এবং আমি সুঁচটি হারিয়ে ফেললাম। এর পরপরই নবী করীম [ ﷺ ] অন্ধকারে আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। তাঁর চেহারা মোবারকের নূরের জ্যোতিতে আমার অন্ধকার ঘর আলোময় হয়ে গেল এবং আমি (ঐ আলোতেই) আমার হারানো সুঁইটি খুঁজে পেলাম।”
সুবহানাল্লাহ! মা আয়েশা ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) বলেন নূরের চেহারা- আর তারা বলে মাটির চেহারা। নাউযুবিল্লাহ!
৫ মাওলানা আবদুল আউয়াল জৌনপুরী সাহেব তাঁর ﻋُﻤْﺪَﺓُ ﺍﻟﻨُّﻘُﻮْﻝ গ্রন্থে লিখেছেনঃ-
ﻭﺍﻟﺬﻱ ﻳﺪﻝ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻧﻮﺭﺍ ﻓﻲ ﺑﻄﻦ ﺃﻣﻪ ﺍﻳﻀﺎ ﻣﺎ ﺭﻭﻯ ﺯﻛﺮﻳﺎ ﻳﺤﻰ ﺍﺑﻦ ﻋﺎﺋﺬ ﺃﻧﻪ ﺑﻘﻲ ﻓﻲ ﺑﻄﻦ ﺃﻣﻪ ﺗﺴﻌﺔ ﺃﺷﻬﺮ ﻓﻼ ﺗﺸﻜﻮ ﻭﺟﻌﺎ ﻭﻻ ﻣﻐﻀﺎ ﻭﻻ ﺭﻳﺤﺎ .
অর্থঃ- “নবী করীম [ ﷺ ] মায়ের গর্ভেই যে নূর ছিলেন-এর দলীল হচ্ছে যাকারিয়ার বর্ণিত হাদীস”- নবী করীম [ ﷺ ] নয় মাস মাতৃগর্ভে ছিলেন, এ সময়ে বিবি আমেনা ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) কোন ব্যাথা বেদনা অনুভব করেননি বা বায়ু আক্রান্ত হননি এবং গর্ভবতী অন্যান্য মহিলাদের মত কোন আলামতও তাঁর ছিলনা। হুযুর [ ﷺ ]-এঁর দেহ যে মাতৃগর্ভে নূর ছিল, এটাই তার প্রমান।
৬ মিশকাত শরীফের হাদিসে নবী করীম [ ﷺ ] এরশাদ করছেনঃ-
ﻭَﺍَﻧَﺎ ﺭُﺅْﻳَﺎ ﺍُﻣِّﻲ ﺍَﻟَّﺘِﻲْ ﺭَﺍْﺕُ ﺍَﻧَّﻪ ﺧَﺮَﺝَ ﻧُﻮْﺭٌﻣِّﻦْ ﺑَﻄْﻨِﻬَﺎ ﻭَﺍَﺿَﺎﺋَﺖْ ﻟَﻬَﺎ ﻗُﺼُﻮْﺭُ ﺍﻟﺸَّﺎﻡ
অর্থঃ-“আমার জন্মের প্রাক্কালে তন্দ্রাবস্থায় আম্মাজান দেখেছিলেন- একটি নূর তাঁর গর্ভ হতে বের হয়ে সিরিয়ার প্রাসাদসমূহ পর্যন্ত আলোকিত করেছে। আমি আমার মায়ের দেখা সেই নূর।” (মিশকাত শরীফ)
৭ ইমামে আহ্লে সুন্নাত শাহ আহমাদ রেযা খান বেরলভী ( ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ) হাদায়েকে বখ্শিশ গ্রন্থের ২য় খন্ড ৭ পৃষ্ঠায় ছন্দে লিখেনঃ
ﺳﺎﻳﻪ ﻛﺎ ﺳﺎﻳﻪ ﻧﻪ ﻫﻮﺗﺎ ﻫﮯ ﻧﻪ ﺳﺎﻳﻪ ﻧﻮﺭﻛﺎ ﺗﻮﻫﮯ ﺳﺎﻳﻪ ﻧﻮﺭ ﻛﺎ ﻫﺮ ﻋﻀﻮ ﭨﮑﮉﺍ ﻧﻮﺭﻛﺎ
অর্থঃ-“হে প্রিয় রাসূল! আপনিতো আল্লাহর নূরের প্রতিচ্ছবি বা ছায়া। আপনার প্রতিটি অঙ্গই এক একটি নূরের টুক্রা। নূরের যেমন ছায়া হয়না, তদ্রূপ ছায়ারও প্রতিচ্ছায়া হয়না। কাজেই আপনারও প্রতিচ্ছায়া নেই, কেননা আপনি নূর এবং আল্লাহর নূরের ছায়া।”
৮ মাকতুবাতে ইমামে রাব্বানী ৩য় জিলদ, মাকতুব নং ১০০ তে হযরত মোজাদ্দেদে আলফেসানী ( ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ) লিখেছেন- “হযরত রাসুলে করীম [ ﷺ ]-এঁর সৃষ্টি কোন মানুষের মত নয়। বরং নশ্বর জগতের কোন বস্তুই হযরত নবী করীম [ ﷺ]-এঁর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে স্বীয় নূর দ্বারা সৃষ্টি করছেন।”
৯ আশ্রাফ আলী থানবী তার নশরুতত্বীব গ্রন্থের ৫ম পৃষ্টায় একটি হাদীস উল্লেখ করেহচেন- “হে জাবের! আল্লাহ তায়ালা আপন নূরের ফয়েয বা জ্যোতি হতে তোমার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন।” (নশরুতত্বীব ৫ পৃষ্ঠা)
১০ তাফসীরে সাভী, সূরা মায়েদা, ১৫ নং আয়াত ﻗَﺪْ ﺟَﺎﺋَﻜُﻢْ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻧُﻮْﺭٌ এর ব্যাখ্যায় লিখেছেনঃ- “আল্লাহপাক তাঁকে নূর বলে আখ্যায়িত করার কারণ হচ্ছে- তিনি সকল দৃশ্য.....!!!
এবার আমরা নূরের দেহের পক্ষের কিছু রেওয়ায়াত পেশ করে প্রমাণ করবো- নবী করীম [ ﷺ ]-এঁর দেহ মোবারকও নূরের তৈরী ছিল। যথাঃ-
১ যারকানী শরীফ ৪র্থ খন্ড ২২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছেঃ
ﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَﻪٗ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻇِﻞُّ ﻓِﻰ ﺷَﻤْﺲٍ ﻭَﻻَ ﻗَﻤَﺮٍ ﻟِﺎَﻧَّﻪٗ ﻛَﺎﻥَ ﻧُﻮْﺭًﺍ
অর্থঃ- “সূর্য চন্দ্রের আলোতে নবী করীম [ ﷺ ]-এঁর দেহ মোবারকের ছায়া পড়তো না। কেননা, তিনি ছিলেন আপাদমস্তক নূর।” (যারকানী)
২ ইমাম কাযী আয়ায ( ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ) শিফা শরীফের ১ম খন্ড ২৪২ পৃষ্ঠায় লিখেনঃ
ﻭَﻣَﺎ ﺫُﻛِﺮَﻣِﻦْ ﺍَﻧَّﻪٗ ﻛَﻦَ ﻻَ ﻇِﻞَّ ﻟِﺸَﺨْﺼِﻪٖ ﻓِﻰ ﺷَﻤْﺲٍ ﻭَﻻَ ﻗَﻤَﺮٍ ﻟِﺎَﻧَّﻪٗ ﻛَﺎﻥَ ﻧُﻮْﺭًﺍ
অর্থঃ- নূরের দলীল হিসেবে ছায়াহীন দেহের যে রেওয়ায়াত পেশ করা হয়, তা হচ্ছে- “দিনের সূর্যের আলো কিংবা রাতের চাঁদের আলো- কোনটিতেই হুযুর [ ﷺ ]-এঁর দেহ মোবারকের ছায়া পড়তো না। কারণ তিনি ছিলেন আপাদমস্তক নূর।” (শিফা শরীফ)
৩ আশ্রাফ আলী থানবী সাহেব তার ﺷُﻜْﺮُ ﺍﻟﻨِّﻌْﻤَﺔِ ﺑِﺬِﻛْﺮِﺭَﺣْﻤَﺔِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﺔ গ্রন্থের ৩৯ পৃষ্ঠায় স্বীকার করেছেন:-
ﻳﻪ ﺑﺎﺕ ﻣﺸﻬﻮﺭ ﻫﮯ ﻛﻪ ﻫﻤﺎﺭﮮ ﺣﻀﻮﺭ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﮯ ﺟﺴﻢ ﻛﺎ ﺳﺎﻳﻪ ﻧﻬﻴﻦ ﺗﻬﺎ ( ﺍﺱ ﻟﮱﻛﮯ ) ﻫﻤﺎﺭﮮ ﺣﻀﻮﺭ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺳﺮﺗﺎﭘﺎ ﻧﻮﺭ ﻫﻰ ﻧﻮﺭ ﺗﮩﮯ
অর্থঃ- “একথা সর্বজন স্বীকৃত ও প্রসিদ্ধ যে, আমাদের হুযুর [ ﷺ]-এঁর দেহের ছায়া ছিল না। কেননা আমাদের হুযুর [ ﷺ ]-এঁর মাথা মোবারক হতে পা মোবারক পর্যন্ত শুধু নূর আর নূর ছিলেন।” (শোক্রে নে’মত)
৪ ইমাম ইবনে হাজর হায়তামী ( ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ) ’আন-নে’মাতুল কোবরা’ গ্রন্থের ৪১ পৃষ্ঠায় হাদীস লিখেনঃ
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺍﻧﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ ﻛﻨﺖ ﺍﺧﻴﻂ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﺤﺮ ﺛﻮﺑﺎ ﻟﺮﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﺎﻧﻄﻔﺎ ﺍﻟﻤﺼﺒﺎﺡ ﻭﺳﻘﻄﺖ ﺍﻻﺑﺮﺓ ﻣﻦ ﻳﺪﻱ ﻓﺪﺧﻞ ﻋﻠﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﺄﺿﺎﺀ ﺍﻟﺒﻴﺖ ﻣﻦ ﻧﻮﺭ ﻭﺟﻬﻪ ﻓﻮﺟﺪﺕ ﺍﻻﺑﺮﺓ .
অর্থঃ- হযরত আয়েশা ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) হতে বর্ণিত- ”তিনি বলেন, আমি রাত্রে বাতির আলোতে বসে নবী করীম [ ﷺ ]-এঁর কাপড় মোবারক সেলাই করছিলাম। এমন সময় প্রদীপটি (কোন কারণে) নিভে গেল এবং আমি সুঁচটি হারিয়ে ফেললাম। এর পরপরই নবী করীম [ ﷺ ] অন্ধকারে আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। তাঁর চেহারা মোবারকের নূরের জ্যোতিতে আমার অন্ধকার ঘর আলোময় হয়ে গেল এবং আমি (ঐ আলোতেই) আমার হারানো সুঁইটি খুঁজে পেলাম।”
সুবহানাল্লাহ! মা আয়েশা ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) বলেন নূরের চেহারা- আর তারা বলে মাটির চেহারা। নাউযুবিল্লাহ!
৫ মাওলানা আবদুল আউয়াল জৌনপুরী সাহেব তাঁর ﻋُﻤْﺪَﺓُ ﺍﻟﻨُّﻘُﻮْﻝ গ্রন্থে লিখেছেনঃ-
ﻭﺍﻟﺬﻱ ﻳﺪﻝ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻧﻮﺭﺍ ﻓﻲ ﺑﻄﻦ ﺃﻣﻪ ﺍﻳﻀﺎ ﻣﺎ ﺭﻭﻯ ﺯﻛﺮﻳﺎ ﻳﺤﻰ ﺍﺑﻦ ﻋﺎﺋﺬ ﺃﻧﻪ ﺑﻘﻲ ﻓﻲ ﺑﻄﻦ ﺃﻣﻪ ﺗﺴﻌﺔ ﺃﺷﻬﺮ ﻓﻼ ﺗﺸﻜﻮ ﻭﺟﻌﺎ ﻭﻻ ﻣﻐﻀﺎ ﻭﻻ ﺭﻳﺤﺎ .
অর্থঃ- “নবী করীম [ ﷺ ] মায়ের গর্ভেই যে নূর ছিলেন-এর দলীল হচ্ছে যাকারিয়ার বর্ণিত হাদীস”- নবী করীম [ ﷺ ] নয় মাস মাতৃগর্ভে ছিলেন, এ সময়ে বিবি আমেনা ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) কোন ব্যাথা বেদনা অনুভব করেননি বা বায়ু আক্রান্ত হননি এবং গর্ভবতী অন্যান্য মহিলাদের মত কোন আলামতও তাঁর ছিলনা। হুযুর [ ﷺ ]-এঁর দেহ যে মাতৃগর্ভে নূর ছিল, এটাই তার প্রমান।
৬ মিশকাত শরীফের হাদিসে নবী করীম [ ﷺ ] এরশাদ করছেনঃ-
ﻭَﺍَﻧَﺎ ﺭُﺅْﻳَﺎ ﺍُﻣِّﻲ ﺍَﻟَّﺘِﻲْ ﺭَﺍْﺕُ ﺍَﻧَّﻪ ﺧَﺮَﺝَ ﻧُﻮْﺭٌﻣِّﻦْ ﺑَﻄْﻨِﻬَﺎ ﻭَﺍَﺿَﺎﺋَﺖْ ﻟَﻬَﺎ ﻗُﺼُﻮْﺭُ ﺍﻟﺸَّﺎﻡ
অর্থঃ-“আমার জন্মের প্রাক্কালে তন্দ্রাবস্থায় আম্মাজান দেখেছিলেন- একটি নূর তাঁর গর্ভ হতে বের হয়ে সিরিয়ার প্রাসাদসমূহ পর্যন্ত আলোকিত করেছে। আমি আমার মায়ের দেখা সেই নূর।” (মিশকাত শরীফ)
৭ ইমামে আহ্লে সুন্নাত শাহ আহমাদ রেযা খান বেরলভী ( ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ) হাদায়েকে বখ্শিশ গ্রন্থের ২য় খন্ড ৭ পৃষ্ঠায় ছন্দে লিখেনঃ
ﺳﺎﻳﻪ ﻛﺎ ﺳﺎﻳﻪ ﻧﻪ ﻫﻮﺗﺎ ﻫﮯ ﻧﻪ ﺳﺎﻳﻪ ﻧﻮﺭﻛﺎ ﺗﻮﻫﮯ ﺳﺎﻳﻪ ﻧﻮﺭ ﻛﺎ ﻫﺮ ﻋﻀﻮ ﭨﮑﮉﺍ ﻧﻮﺭﻛﺎ
অর্থঃ-“হে প্রিয় রাসূল! আপনিতো আল্লাহর নূরের প্রতিচ্ছবি বা ছায়া। আপনার প্রতিটি অঙ্গই এক একটি নূরের টুক্রা। নূরের যেমন ছায়া হয়না, তদ্রূপ ছায়ারও প্রতিচ্ছায়া হয়না। কাজেই আপনারও প্রতিচ্ছায়া নেই, কেননা আপনি নূর এবং আল্লাহর নূরের ছায়া।”
৮ মাকতুবাতে ইমামে রাব্বানী ৩য় জিলদ, মাকতুব নং ১০০ তে হযরত মোজাদ্দেদে আলফেসানী ( ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ) লিখেছেন- “হযরত রাসুলে করীম [ ﷺ ]-এঁর সৃষ্টি কোন মানুষের মত নয়। বরং নশ্বর জগতের কোন বস্তুই হযরত নবী করীম [ ﷺ]-এঁর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে স্বীয় নূর দ্বারা সৃষ্টি করছেন।”
৯ আশ্রাফ আলী থানবী তার নশরুতত্বীব গ্রন্থের ৫ম পৃষ্টায় একটি হাদীস উল্লেখ করেহচেন- “হে জাবের! আল্লাহ তায়ালা আপন নূরের ফয়েয বা জ্যোতি হতে তোমার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন।” (নশরুতত্বীব ৫ পৃষ্ঠা)
১০ তাফসীরে সাভী, সূরা মায়েদা, ১৫ নং আয়াত ﻗَﺪْ ﺟَﺎﺋَﻜُﻢْ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻧُﻮْﺭٌ এর ব্যাখ্যায় লিখেছেনঃ- “আল্লাহপাক তাঁকে নূর বলে আখ্যায়িত করার কারণ হচ্ছে- তিনি সকল দৃশ্য.....!!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন